শিশুদের নাকের ভিতর তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে করোনাভাইরাস। যা থেকে অন্যরাও সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গবেষণায় এমন ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশুই উপসর্গহীন। কারো কারো ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকলেও তা খুবই সামান্য।
করোনাভাইরাসের বাহক হিসেবে শিশুদের ভূমিকা বিষয়ে অজানা সব তথ্য জানতে গবেষণা চালান দক্ষিণ কোরিয়ার এক দল বিজ্ঞানী। যেখানে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নতুন তথ্য উঠে এসেছে, যা শুনে আঁতকে উঠতে পারেন সবাই।
গবেষকদের দাবি, শিশুরা তাদের নাকের ভিতর ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত করোনাভাইরাস বহন করতে পারে। এবং ওই ভাইরাস অন্য জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।
গবেষণার কাজে ৯১ জন শিশুর সহায়তা নেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা শেষে দেখা যায়, প্রথমে শিশুদের নাকে ভাইরাসটি যে অবস্থায় ছিল, তার ঠিক ৩ সপ্তাহ পরেও একই অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ শিশুর দেহেই কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি, যাদের শরীরে পাওয়া গেছে তাও চোখে না পড়ার মতো।
তবে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুরাও একই হারে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি গবেষকরা। অবশ্য, অন্যকে সংক্রমিত করতে শিশুরা অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা তাদের। আপস…
এদিকে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, বড়দের তুলনায় শিশুদের করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কম। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঝুঁকি আরো কম। ব্রিটিশ রয়্যাল কলেজ অফ পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর রাসেল ভিনার বলেন, রক্তে থাকা অ্যান্টিবডির কারণে বাচ্চারা আক্রান্ত হলেও বড়দের তুলনায় তাদের অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা খুবই কম।